চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে জাহাজে ডাকাতিকালে সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় একথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল সিদ্দিককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আরও থাকছেন কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধি।
এই কমিটি আমাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন।
এর আগে সোমবার বিকেলে ওই চর থেকে নিহতদের ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
নিহত জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া (৫৫) ফরিদপুর জেলা সদরের জোয়াইর গ্রামের মৃত আনিছ বিশ্বাসের ছেলে। লস্কর শেখ সবুজ (৩৫) মাস্টারের আপন ভাগ্নে, তিনি একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে।
সুকানি আমিনুল মুন্সী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ইটনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। লস্কর মো. মাজেদুল (১৬) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে। একই উপজেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬) দাউদ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন (৪০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহোরদিয়া ১১ নলি গ্রামের মৃত আবেদ মোল্লার ছেলে এবং বাবুর্চি কাজী রানা (২৪) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামের কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।