নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেল। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন। এর আগে শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় তাকে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
ভিডিও বার্তায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দলের নেতৃবৃন্দের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। এর পরবর্তীতে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাও তিনি মাথা পেতে নেবেন বলে ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে ১৬ এপ্রিল দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ এবং মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান মন্ত্রীর শ্যালক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন একটি নাটক সাজানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার পার সাঐল এর বাড়িতে ফেলে রাখা ফেলে রেখে আসা হয়। এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাসার বড়ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে প্রথমে সানোয়ার হোসেন সুমন এবং নাজমুল হোসেন বাবুকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে সানোয়ার হোসেন সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে এই অপহরণ ও মারধরের কথা স্বীকার করে। গত ১৯ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে যান জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দলের নেতাদের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। এর পরবর্তীতে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাও তিনি মাথা পেতে নেবেন বলে ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে ১৬ এপ্রিল দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, মন্ত্রীর শ্যালক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন একটি নাটক সাজানো হয়েছে।