দিনাজপুর বিরামপুরে সপ্তম শ্রেনীর মাদ্রাসা পড়ুয়া নাইমা আক্তার লিয়া নামের এক ছাত্রী প্রাকৃতিক ভাবে এক রাতেই মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে বলে দাবি করছে পরিবার।
রবিবার (১ অক্টোবর) লিয়ার মা পিয়ারা বেগম তার মেয়ে ছেলে হয়েছে বলে দাবি করেন ।
ছেলেতে রূপান্তর হওয়া লিয়া ওই গ্রামের কোরম আলী ও পিয়ারা খাতুন দম্পতির সন্তান। সে স্থানীয় চত্বরপুর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
লিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরি। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ আমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পাই। বিষয়টি আমি আমার দাদি ও মাকে জানাই। তবে শারীরিক ভাবে অসুবিধা হচ্ছে না ।
দাদি রহিমা বিবি বলনে, আমার নাতনি তার শারীরিক পরিবর্তনের কথা আমাকে জানায়। আমি নিজে তার এ পরিবর্তন দেখেছি। তার আচারন পুরুষ মানুষের মতই। কন্ঠের মধ্যে পুরুষালী কন্ঠ ।
মা পিয়ারা খাতুন বলেন, আমাদের পরিবারে এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে লিমা বড়। শারীরিক পরিবর্তনের কথা প্রথমে ওর দাদিকে ও পরে আমাকে জানায়। কথাটি শুনে প্রথমে আমি বিশ্বাস করি নাই। পরে বিশ্বাস করেছি।
বাবা করম আলী বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় আমার মেয়ে, ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। এতে আমরা বাবা–মা খুশি। লিয়ার নাম এখনো রাখা হয়নি। তবে তার পোশাক–পরিচ্ছেদ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম বোরহান–উল–ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি সচরাচর ঘটেনা। জেনেটিক কারনে এমনটা হয়। আইনী কিছু বিষয়ের জন্য মেডিকেল টিম করে তার একটি সার্টিফিকেট নেয়ার পরামর্শ দিলেন সিভিল সার্জন।
এসএ/দীপ্ত নিউজ