জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জয় উইজেসেকেরা। এসময় তারা শিশুদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, শিশু পুষ্টি, শিশু শিক্ষা, শিশু শ্রম ও শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ, তথ্য–প্রযুক্তি খাতে শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, শিশুদের সার্বিক কল্যাণে ১৯৭২ সাল থেকে ইউনিসেফ বাংলাদেশে দক্ষতার সাথে কাজ করছে। জন্মের পর থেকে শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে ইউনিসেফ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিশুদের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং ভাতা, শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান ইত্যাদি সহায়তামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার কাজ করছে। শিশুশ্রম হ্রাসে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা এবং শিশুদের জন্য নির্মল সবুজ টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রচুর বনায়ন কার্যক্রম প্রয়োজন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করে সঞ্জয় উইজেসেকেরা বলেন, শিশু অধিকার সুরক্ষা, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, নারী সহিংসতা প্রতিরোধ, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দৃশ্যমান। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিশু সুরক্ষাসহ বাংলাদেশের শিশুদের মূল ধারায় সম্পৃক্ত রাখতে ইউনিসেফ কাজ করতে আগ্রহী। ঝড়ে পড়া শিশুর হার কমাতে ও শিশু পুষ্টি নিশ্চিত করে দারিদ্র্য দূরীকরণে ইউনিসেফ বাংলাদেশে কাজ করতে পারে। এসকল বিষয়ে জাতীয় সংসদের সাথে অংশীদারি প্রকল্প নিতে পরিচালক সঞ্জয় উইজেসেকেরা স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করলে স্পিকার সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
এসময়, ইউনিসেফ বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আল / দীপ্ত সংবাদ