নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীর উৎসবের উদ্বোধনী দিনের অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নানা নাটকীয়তার পর তিনি এ জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি অ–ব্যবস্থপনার কথা স্বীকার করেন। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিশ্রুতি দেন।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময়ে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এসময় জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা পতিসরের সাংবাদিকদের অ–সস্মানিত করার তীব্র প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যখ্যা চান।সাংবাদিকদের অ–সম্মান করার ব্যাখ্যা দিয়ে ডিসি বলেন– আয়োজনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা না থাকায় তিনি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছেন। এ জন্য তিনি সকলের কাছে দু:খ প্রকাশ করেন। আগামীতে কোন আয়োজনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি যাতে না হয় তার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।
প্রসঙ্গত, পতিসরে এবার বিশ্বকবির জন্মোৎসবের মূল আয়োজন ছিল। ৩ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনার কারণে আগত সাংবাদিকরা অসম্মানিত হোন। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এসব ঘটনার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনকে দায়ী করেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠ সম্মানজনক সমাধানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী দেয় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব।
তাদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। কয়েক দিন নাটকীয়তার পর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে জড়ো হোন। সেখানে বক্তারা আগামী দিনে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে একাত্ন থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আব্দুর রউফ রিপন/এফএম/দীপ্ত নিউজ