তিউনিশিয়া উপকূল থেকে ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। এ নিয়ে গত দশ দিনে অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ জনে। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড কর্মকর্তা হুসেম এডিন জেবাবলি বলেন, মৃতদেহগুলোতে পচন ধরে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বেশ কয়েকদিন ধরে লাশগুলো পানিতে ভেসে ছিল।
অল্প কয়েক দিনে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশী দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর পশ্চিম লিবিয়া উপকূলে অর্ধশত মরদেহ ভেসে আসে বলে জানায় দেশটির কোস্টগার্ড।
তারও আগে, সোমবার (২৪ এপ্রিল) উত্তাল সাগরে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথে ৩৭২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে তিউনিসিয়া কোস্টগার্ড। এর মধ্যে বাংলাদেশিও ছিল। রাজধানী তিউনিস থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের বন্দর নগরী স্ফ্যাক্সোর উপকূলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সম্প্রতি সাব–সাহারা আফ্রিকা, সিরিয়া ও সুদানের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাযোগে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিবেশী লিবিয়াতেও পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর সমুদ্র পাড়ি দেয়া বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত চারশোর বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ