দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে তালাবদ্ধ থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের অধিকাংশ কক্ষ সোমবার (২৩ জুন) খুলে দেয়া হবে। তবে প্রশাসক ও প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কক্ষ তালাবদ্ধই থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত সংগঠন ‘ঢাকাবাসী’র নেতারা।
রবিবার (২২ জুন) দুপুরে নগর ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের কোনো বিল ছাড় দেয়া হবে না। পাশাপাশি, ফ্যাসিস্ট আমলের দোষরদের নগর ভবন ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রবেশ প্রতিহত করা হবে।‘
তিনি আরও জানান, জরুরি নাগরিক সেবা কার্যক্রম চালু রাখতে সকল দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জন্ম–মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, কর আদায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন, সড়কবাতি সচল রাখা, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সেবা ইত্যাদি যেন ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মশিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ রয়েছে। তার নিয়োগ কার্যক্রম কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। আমরা মনে করি, এ ধরনের অযোগ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট দোষরদের প্রতিহত করা নাগরিক দায়িত্ব।‘
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে একগুঁয়েমি করছে এবং আদালত ও সংবিধান অমান্য করছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ষড়যন্ত্র করছে এবং এর দায় চাপাতে চাইছে আন্দোলনকারীদের ওপর।‘
এদিকে সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় ঢাকাবাসীর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি। আন্দোলনকারীরা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন নেতাকর্মীরা। ঈদুল আজহার আগে ইশরাক হোসেন জরুরি সেবাগুলো চালুর ঘোষণা দেন এবং তিনদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সরকারের কিছু উপদেষ্টা নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত করে সেই দায় আন্দোলনের ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।