ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এক যুগ পূর্তিতে ধানমণ্ডিতে উৎসবমুখর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপদেষ্টা, প্রাক্তন সদস্য ও শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিবর্গসহ আয়োজকরা অংশ নেন। সবাই মিলে স্মরণ করেন এই দীর্ঘ যাত্রার প্রেরণাদায়ক গল্প, সৃজনশীল বন্ধন এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় মূল কার্যক্রম, এবং সাতটা নাগাদ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে উৎসবের বিবর্তন, নবীন নির্মাতাদের প্রতি এর প্রভাব এবং আগামী দিনের পথচিত্র।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সুমন রহমান বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কেবল চলচ্চিত্র নির্মাণের একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমাদের বন্ধুত্ব, অভিজ্ঞতা ও ভ্রাতৃত্বের এক চিরন্তন নিদর্শন। পরিচিত মুখ আর পুরোনো দিনের কথা আমাদের এই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
উপদেষ্টা সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন বলেন, ২০১৫ সালে যারা এই উৎসব শুরু করেছিলেন; তাদের প্রতি রইলো অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা। তাদের হাত ধরেই এই স্বপ্নের বীজ বপন হয়েছিল। আজ যারা কাজ করে চলেছেন, তারাও সেই মূল চেতনার ধারক ও বাহক। আমরা কখনোই আমাদের শিকড় ভুলতে পারি না।
২০২১ সালের উৎসব পরিচালক রাফি আহমেদ বলেন, এই পুনর্মিলনী শুধু একটি মিলনমেলা নয়—এটি আমাদের সৃষ্টিশীলতার ধারাবাহিকতা। আমি বিশ্বাস করি, প্রতি দুই বা তিন বছর পরপর এমন আয়োজন হওয়া উচিত, যাতে নতুন প্রজন্ম পুরোনো অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে।
রাত নয়টা থেকে শুরু হয় আনন্দময় ও অংশগ্রহণমূলক খেলা, যেমন স্বীকারোক্তি, ইশারার খেলা, এবং বহুল জনপ্রিয় হাস্যরস ও প্রশংসা–পর্ব, যা সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে তোলে।
রাত এগারোটায় অনুষ্ঠান শেষ হয়। অংশগ্রহণকারীরা ফিরে যান অতীত স্মৃতির উষ্ণতা ও ভবিষ্যতের জন্য নতুন উদ্দীপনা নিয়ে। মোবাইল চলচ্চিত্র নির্মাণে সৃষ্টিশীলতার বিস্তার ঘটাতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আবারও তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এই অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল দীপ্ত টিভি।