দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে জামালপুরে তেল ফসলের উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় বিএ আরআই‘র মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় পাঁচ জেলার কৃষি বিজ্ঞানীরা অংশ নেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মনজুরুল কাদের।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। আরও উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রজব আলী, জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক জাকিয়া সুলতানাসহ অন্যরা।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডক্টর দেবাশীষ সরকার বলেন, তেল জাতীয় অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে কৃষক কম লাভবান হওয়ার উচ্চ ফলনশীল কেননা জাতীয় সরিষা ফসল উৎপাদন করে কৃষক অধিক লাভবান হবে। সেই কাজগুলোই কৃষি বিজ্ঞানীরা করে যাচ্ছে। গত ২০২০–২১ অর্থ বছরে কৃষি জমিতে ৬ থেকে ৮ হাজার হেক্টর এবং এ বছর ১১ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি। কেনেলো জাতীয় তৈলবীজ দেশব্যাপী জড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভর থেকে সরে এসে উৎপাদনমুখী করার জন্য তেলবীজ ফসল উৎপাদনের আধুনিক কৌশল প্রয়োগ করে রুপা আমন ও বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময় চাষযোগ্য কেনোলা জাতীয় সরিষার জাত উদ্ভাবন কর্মসূচিকে কাজে লাগতে হবে। উচ্চ ফলনশীল সরিষার জাত কৃষকের হাতে তুলে দিলে এটি যেমন কৃষক লাভবান হবে তেমনি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পাশাপাশি ভোজ্য তেলের (সয়াবিন) আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। কেননা জাতীয় বীজ উৎপাদনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কৃষিকে টেকসই উৎপাদনশীল করতে হবে।
এজে/ আল / দীপ্ত সংবাদ