তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাঙামাটির জনজীবন। টানা দশ দিনেরও অধিক সময় ধরে চলছে তাপ দাহ। এতে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি পাহাড়ের মানুষ। এতে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে না পাড়ায় আয় কমে গেছে বলে জানিয়েছে শ্রমজীবি মানুষ।
শুধু তাই নয়, তীপ তাপদাহ উপেক্ষা করে যারাই কাজ করতে বেড়িয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। গরমের তীব্রতায় কাপ্তাই হ্রদের তীরে বসবাস করা শিশুদের দেখা যাচ্ছে হ্রদে শরীর ডুবিয়ে রাখতে।
রোদের তীব্রতা থাকায় অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন না কেউ। যার কারণে দোকানীদের অবসর সময় কাটাতে হচ্ছে। সিএনজি অটোরিক্সা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকলেও লোকজনের তেমন দেখা নেই বললেই চলে সড়কে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে আজকে রাঙামাটিতে তাপমাত্রা ৩৬ডিগ্রি সেলসিয়াস । এই মৃদু তাপ প্রবাহ আগামী আরো এক সপ্তাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস। আর রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন হাসপাতালের বহিবিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কলেজ শিক্ষার্থী অদ্রিদ দে জানিয়েছেন, তীব্র গরমে আমরা অতিষ্ঠ। ঠিক মত পড়া লেখা করতে পারছি না, কলেজে যেতে পারছি না। তার উপর দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
রাজমিস্ত্রি বাবু জানান, তীব্র গরমে আমি দুই তিনদিন কাজ করার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। তারপর দুইদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়েছি। এই তীব্র গরমে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এতে আয়ও কমে যাচ্ছে আমাদের।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, হাসপাতালে গরম ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে বহিবিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা গরমে বেশি বেশি পানি ও পানিয় খাবার পান করার পরামর্শ দিচ্ছি।
মিশু দে/ আল/দীপ্ত সংবাদ