শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সুদানে বাঁধ ধসে মৃত্যু ৬০, নিখোঁজ শতাধিক

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
4 minutes read

পূর্ব সুদানে আরবাত বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা হয়ে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা শতাধিক।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দ্য রেড সি স্টেটস ওয়াটার করপোরেশনের ওমর ইসা তাহির বলেন, বাঁধ ভেঙে দেশটির রাজধানী পোর্ট সুদানের কাছাকাছি গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।

বাঁধ এলাকা ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

তাহির বলেন, বন্যায় যারা আটকে পড়েছে তাদের আগে সরিয়ে নিতে হবে। উদ্ধারকারী দল বর্তমানে তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাঁধ ধসে ভয়াবহ বন্যায় আশেপাশের গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। সেসব এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

পোর্ট সুদান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই বাঁধ। এতে ২৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি ধারণ করা যেত যা শহরের পানির অন্যতম প্রধান উৎস ছিল।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, জুন থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা জানিয়েছে সুদানের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।

সুদানে প্রায় প্রতি বছরই জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে বন্যা হয়ে থাকে। দেশটিতে চলমান সংঘাতের মধ্যে এই ভয়াবহ বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে প্রাণহানি ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দেশটিতে শুরু হওয়া সশস্ত্র ও বেসামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতের ফলে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এখন সুদানে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে আনুমানিক ১০.৭ মিলিয়ন মানুষ। আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২.২ মিলিয়ন।

আল/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More