চাঁদাবাজিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ফাইল সরিয়ে নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদের ভাগ্নে পরিচয়দানকারী এক যুবক।
রবিবার (১১ আগষ্ট) বেলা ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। আটক ওই যুবকের নাম মামুন মিয়া। তার বাড়ি সদর উপজেলার জাগির ইউনিয়নের ঢাকুলি গ্রামে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুপুরে বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত জাহিদ টাওয়ারে পরিবহন সমিতির অফিস থেকে মামুন কয়েক বস্তা ফাইলপত্র একটি অটোবাইকে করে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় রাস্তায় ট্রাফিকিংয়ের দায়িত্বে থাকা কয়েকজন ছাত্র তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই সময় মামুন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এলোমেলো কথা বলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে স্বীকার করে। পরে মামুন জাহিদের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে জানায় জাহিদই তাকে ওই সমস্ত ফাইলপত্র বাসায় পৌঁছে দিতে বলেছে। পরে ছাত্ররা ফাইলপত্রের বস্তাসহ মামুনকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মানিকগঞ্জে পরিবহন সেক্টর থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। দীর্ঘ দিন ধরে পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজির বিভিন্ন নথি ছিল বস্তার ওই ফাইলপত্রে। মূলত সেগুলোকে গায়েব করার জন্যই কৌশলে মামুনকে দিয়ে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন জাহিদ।
তবে, এ ব্যাপারে জাহিদের সাথে যোগাযোগ করতে মোবাইল করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে মানিকগঞ্জের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, শিক্ষার্থীরা ফাইলপত্রের বস্তাসহ এক যুবককে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মানিকগঞ্জ থানায় আমরা তাকে হস্তান্তর করব।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাহিদ টাওয়ারে ছিল জেলা পরিবহন মালিক সমিতির অফিস। সমিতির সভাপতি ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি পরিবহন সেক্টরে থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন। সরকার পদত্যাগের পর তিনি পলাতক রয়েছেন।
চন্দন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ