সংসার সুখের হওয়ার জন্য স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক স্বচ্ছ কাচের মতো হওয়া প্রয়োজন। তবে তাই বলে সব সত্যি স্ত্রীকে বলতে যাবেন না! কারণ, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে–এমনটাই অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দাম্পত্যসম্পর্ক মজবুত করতে অবশ্যই এই ৫ সত্য স্ত্রীকে বলা থেকে বিরত থাকুন। আসুন তা একে একে জেনে নিই।
১। স্ত্রীর সীমাবদ্ধতা: কখনও স্ত্রীর সীমাবদ্ধতা নিয়ে সত্যি বলতে যাবেন না। যদি স্ত্রী দেখতে অসুন্দর, কম শিক্ষিত, দরিদ্র হন তবে তার এই সীমাবদ্ধতা তাকে বলা বন্ধ করুন। কারণ, স্ত্রীর এসব সীমাবদ্ধতা পছন্দ না হলে আপনি তাকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে পারতেন। যেহেতু বিয়ে করেই ফেলেছেন, তাই এ সত্যি বলা থেকে আপনাকে বিরত থাকতেই হবে। আর তা না হলে সংসারে কখনোই আপনি সুখী হতে পারবেন না।
২। অতীত সম্পর্ক: অতীতে কোনো প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে থাকলে সে সত্যি কখনও স্ত্রীকে জানাতে যাবেন না। আপনি হয়তো নিজের দিক থেকে সৎ থাকার কারণে স্ত্রীকে জীবনের অতীতের সম্পর্ক বলতে চাইতে পারেন। তাই যদি হয়, এখনই সাবধান হন এবং এ সত্যি বলা থেকে পিছিয়ে আসুন। কারণ, আপনার স্ত্রীর জীবনে যদি কোনো অতীত সম্পর্ক না থাকে, তাহলে সে কখনোই এ সত্য হজম করতে পারবেন না। যদি স্ত্রীর কাছে সৎ থাকতেই হয়, তবে অতীতকে নিজে জীবন থেকে পুরোপুরি বিদায় দিন। স্ত্রী ছাড়া জীবনে অন্য মেয়ের প্রতি আসক্তি বন্ধ করুন। এতে স্ত্রীকে অতীত সত্যি না বললেও আপনার তা দোষের হবে না।
৩। বয়েজ টক: আপনার বন্ধুদের সঙ্গে নারীদের নিয়ে আপনারা কেমন আলোচনা করে থাকেন, তা কখনও স্ত্রীকে বলতে যাবেন না। এতে আপনার চরিত্র সম্পর্কে খারাপ ধারণা জন্ম নেবে আপনার স্ত্রীর। তাই চেষ্টা করুন, এ সত্যি স্ত্রীকে না জানাতে। বরং বন্ধুদের সঙ্গে এই বাজে বয়েজ টক থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলুন। আপনার ক্যারিয়ারে বেশি সময় ফোকাস রাখুন। তাহলে সামনের দিনগুলোতে সাফল্য আপনার হাতেই ধরা দেবে।
৪। একান্ত দুঃখ: কিছু দুঃখ থাকে একান্ত নিজের। তা কখনও কারো সঙ্গে শেয়ার করতে যাবেন না। এমনকি স্ত্রীর কাছেও না। এতে স্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন। অকারণেই নেমে আসতে পারে সংসারে অশান্তি। তাই কিছু দুঃখ মনের মধ্যে চেপে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৫। পরিবারের কালো ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে কোনো নেতিবাচক ইতিহাস থাকে, তবে তা স্ত্রীর কাছে না বলাই ভালো। কেননা, পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনাকেও স্ত্রী সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করবে। তাই নিজের ব্যক্তিত্বের ওপর জোর দিন। সৎ থাকুন। তাহলে স্ত্রীর থেকে এ সত্য লুকিয়ে গেলেও তার জন্য আপনি দায়বদ্ধ হবেন না।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ