রঙিন ফুলকপি চাষে ঝুকছে ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। এবছর জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৪০ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুল কপি ও রঙিন বাধা কপির চাষাবাদ হয়েছে। স্বাদ, স্বাস্থ্য গুণ ও বাজারদর ভাল হওয়ায় নতুন দুই জাতের এই রঙিন কপির চাষে আগ্রহ বাড়ছে সীমান্তবর্তী উপজেলার কৃষকদের মধ্যে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর পাড়িয়া ইউনিয়নের দুইজন কৃষক উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের দেওয়া ২টি প্রদর্শনীতে ২০ শতাংশ রঙিন ফুলকপি এবং ২০ শতাংশ জমিতে রঙিন বাধাকপি চাষ করেছেন। কোনো রকম কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই চাষ করা এ জাতের কপিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন–এ, অ্যান্টি অক্সিজেন, অ্যান্থোসায়ানিন, পর্যাপ্ত আঁশ ও ক্যান্সার রোধক উপাদান। এছাড়াও দেখতে সুন্দর হওয়ার রঙিন কপি চাষাবাদে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
২০ শতাংশ জমিতে রঙিন বাধা কপি চাষ করেছেন জাউনিয়া গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, অন্য কপির চেয়ে একটু সময় বেশি লাগলেও এই কপিতে রোগ বালাই কম। তাছাড়া দেখতে সুন্দর হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে। প্রথমবার চাষাবাদ হওয়ার কারণে অনেক কৃষক আগ্রহ বাড়িয়ে দেখতেও আসছে খেতে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে রঙিন ফুলকপি
ফুলকপি চাষ করা কৃষক সৌলা দোগাছি সুনিল সিংহ বলেন, ‘১৮ বছর সাদা কপি চাষ করছি। এবার কৃষি অফিস থেকে দেওয়া বীজ ও সার নিয়ে রঙিন কপি চাষ করেছি। বাজারে তোলা মাত্র বিক্রি হয়ে গেছে রঙিন ফুলকপি।
জাউনিয়া গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, আগামী বছর আমরা পরিকল্পনা করছি এই রঙিন কপি চাষাবাদের। রঙিন কপি খেত দেখলেই মন ভরে যায়।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল বলেন, রঙিন জাতের ফুলকপি চাষে উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে বীজ সরবরাহ ও পরামর্শ প্রদানসহ সার্বিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে। আগামী বছর চাষাবাদ বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
হিমেল / আল / দীপ্ত সংবাদ