যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী মামলায় আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়ার সময় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগ মোড়ে তাণ্ডবের ঘটনায় তার ছেলেসহ ৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারি কাজে বাধা, মারধর, গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার এসআই মো. জব্বার বাদী হয়ে করা মামলায় সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী, জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ, ড. শফিকুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখ রয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়। পরদিন সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদীর মৃত্যু হয়।
সাঈদীর ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের মনোনয়নে পিরোজপুর–১ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ২০১৪ সালে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।
এসএ/দীপ্ত নিউজ