প্রথমবারের মতো ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবলের রেকর্ড সিটির।
শনিবার (১১ জুন) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ১–০ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
হাই–ভোল্টেজ ফাইনালে দুই দলই শুরুটা করে দেখেশুনে। সময় যত গড়িয়েছে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ম্যান সিটি। তবে মিলান গোলরক্ষককে খুব বেশি পরীক্ষার ফেলতে পারেনি হলান্ড–গুনদোয়ানরা।
খেলা শুরুর পঞ্চম মিনিটেই দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন বার্নার্দো সিলভা। ডি বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু টার্গেট মিস করে গেছেন। এরপর পাল্টা আক্রমণে উলটো বিপদেই পড়তে যাচ্ছিল সিটি। ২৫ মিনিটে বারেল্লার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য জাল ছোঁয়নি। তৈরি ছিলেন না সিটির গোলরক্ষক এডারসনও।
৩০ মিনিটে মাঠে পড়ে যান কেভিন ডি ব্রুইনা। সে সময় শুশ্রূষা নিয়ে ফের মাঠে ফিরলেও অস্বস্তি ছিল চোখে–মুখে। ৩৫ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। অস্বস্তিতে ভোগা ডি ব্রুইনাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ। নামেন ফিল ফোডেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ তম মিনিটে সিটির গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন লাওতারো মার্টিনেজ। পাল্টা আক্রমণে ওঠে আসে সিটি। সুফল পেতেও সময় লাগলো না। ৬৮ মিনিটে একটা সংঘবদ্ধ আক্রমণে বল পেয়ে দারুণ শটে গোল করলেন সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি।
ম্যাচে সমতায় ফিরতে একের পর এক চেষ্টা করে গেছে ইন্টার। কিন্তু শেষের সময়টুকু দারুণভাবে রক্ষণ সামলেছে গার্দিওলার শিষ্যরা। শেষ বাঁশি বাজতেই ইতিহাস গড়ার আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন সিটির খেলোয়াড়রা।
এ জয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবলের রেকর্ড সিটির।
আল/দীপ্ত সংবাদ