বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৫

চিনির দাম কেজিতে ২৬ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব

চিনির দাম কেজিতে ২৬ টাকা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে (বিটিসি) প্রস্তাব পাঠিয়েছে আমদানিকারকরা। তাদের দাবি, বিশ্ববাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে চিনির দাম। তাই কাটছে না সংকট।

গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির চিনির বাজার। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চিনির দাম। আবার মিলছে না সব দোকানেও। 

তারা জানান, বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। দুইএকটি দোকানে দাম ঠিক হলে বিক্রেতারা বের করে দিচ্ছেন চিনি। তবে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এ অবস্থায় চিনি কেনা দুষ্কর হয়ে উঠছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পর জানা যায়, চিনির বাজারের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই গত মাসের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে চিনির দাম কেজিতে ২৬ টাকার বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছেন আমদানিকারকরা।

আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লিমিটেডের হেড অব সেলস মনিরুজ্জামান বলেন, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম বেড়ে ৬৮০ থেকে ৭০০ ডলার হয়ে গেছে। তাই খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১২৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি কেজিপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণের জন্য ট্যারিফ কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আর চিনির দাম নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সরকার ও ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক অবস্থানে থাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, চিনির বাজার এখন অস্থিতিশীল। এর ওপর কাটছে না সরবরাহ সংকট। উৎপাদন খরচ ও মুনাফার সীমা বিবেচনা করে কাছাকাছি কোন দাম নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে।

বিক্রেতারা জানান, কোম্পানি থেকে মিলছে না চিনি। পাশাপাশি বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে প্যাকেটজাত চিনি। তাই দোকানে চিনি রাখছেন না তারা। 

উল্লেখ্য, গত মাসের ৬ এপ্রিল কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১০৪ টাকা ও প্রতি কেজি পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যা কার্যকর হয় ৮ এপ্রিল থেকে।

এফএম/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More