কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে এ মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেব না। সার নিয়ে যাতে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে না হয়, (তা দেখা হবে)। কারণ সার নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি হলে আমাদের উৎপাদন কমে যাবে।’
এ বছর সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে লক্ষ্যেই আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন, টিএসপি সার সাড়ে ৭ লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন। এছাড়া আমাদের ডিএপি সার প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টন। কিন্তু এ সারের দাম কমানোর জন্য ১৬ লাখ টন চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সারের মজুতের পরিমাণের বিষয়ে নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘৪ লাখ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। এছাড়া টিএসপি সার রয়েছে দুই লাখ টন, ডিএপি সার আড়াই লাখ টন এবং এমওপি সার সোয়া দুই লাখ টন। গত বছরের তুলনায় সব সারের পরিমাণই কিছুটা কম রয়েছে।’
গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকলে খুবই কম পরিমাণ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শাহজালাল সার কারখানা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আপনারা জানেন, গত দু–তিন বছরে ঠিকমতো গ্যাসের সরবরাহ হচ্ছে না। যার কারণে মাঝে মাঝে সার কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হয়।’
এছাড়া বৈঠতে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ