প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের আদালত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে জল্পনা দানা বেঁধেছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জল্পনাকে সত্য প্রমান করে রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) লোকসভা সচিবালয়ের তরফে এ কথা জানানো হল।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং ভারতের সংবিধান বিশেষজ্ঞ রাকেশ দ্বিবেদী বলেছেন, তার মত হলো এখনই রাহুলের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি বেআইনি। কারণ রাহুলকে আদালত ৩০ দিন দিয়েছেন রায় চ্যালেঞ্জ করার জন্য এবং এক্ষেত্রে তিনি আদালত থেকে সাজার ওপর স্থগিতাদেশ নিতে পারেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গতকাল গুজরাটের সুরাত জেলা আদালতের বিচারক এইচ এইচ বর্মা অবশ্য ২ বছরের জেলের সাজা ঘোষণার পাশাপাশি রাহুলকে ১০ হাজার টাকার জামিনে মুক্তি দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত করার ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি তিনি। ফলে আইন মেনেই দোষী রাহুলকে বরখাস্ত করেছেন স্পিকার।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিকাশ সিং বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে খুব দ্রুত সবকিছু করতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন তার কেরালার ওয়ানাদের আাসনটি খালি ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তার উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে এবং সাজার মেয়াদের ওপর স্থগিতাদেশ নিতে হবে।
বিকাশ সিং আরও বলেন, ‘যদি স্থগিতাদেশ পাওয়া যায় তবেই কেবল তিনি তার সদস্যপদ ফেরত পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। তবে তার জন্য তাকে অতিদ্রুত আপিল বিভাগের শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি যদি স্থগিতাদেশ পান তবেই কেবল তার আসনে কোনো উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।’
আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এ ক্ষেত্রে ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদের পদ রক্ষার পথে অন্তরায় হয়েছে, ২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়। ঘটনাচক্রে, এক দশক আগে ওই রায় কার্যকর করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন তিনিই। ওই আইন বলছে, সাংসদ পদ খারিজ হওয়া রাহুল অন্তত আগামী ৮ বছর (২ বছর জেল এবং সাজার মেয়াদ শেষের পরে আরও ৬ বছর) কোনও ভোটে লড়তে পারবেন না।
অনু/দীপ্ত সংবাদ