রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কল্যাণ শ্রমিক ইউনিয়নের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশের মতো রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে তিতুমীর এক্সপ্রেস, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটের খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, সকাল ৭টার ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস এবং সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, তবে স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেনটি চলেনি।
লোকাল, আন্তঃনগর, মেইলসহ বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ট্রেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত স্টেশনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন কয়েক শ যাত্রী। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিকিট পরিদর্শকদের (টিটিই) একটি কক্ষের চেয়ার–টেবিল এবং স্টেশনে রাখা কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে চলে যান যাত্রীরা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক ময়েন উদ্দিন বলেন, ‘যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের কাউন্টার থেকেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা অনলাইনে টিকিট কাটেন, তাঁদের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন স্টেশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’
রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটি যখন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে, তখন ট্রেন চলবে।’
উল্লেখ্য, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন তথ্য মতে, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন ১৮ জোড়া ট্রেন ছেড়ে যায়।
এসএ