উদ্বোধনের ১০ বছরেও পুরোদমে চালু হয়নি, বান্দরবানের প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। মাত্র দু‘জন কর্মকর্তা দিয়েই চলছে জেলার এই আবহাওয়া কেন্দ্রটি। ফলে সব ধরণের পূর্বাভাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার মানুষ।
পাহাড়ে বৃষ্টিপাত, বাতাসের আর্দ্রতা এবং পাহাড় ধ্বসের পূর্বাভাসসহ আবহাওয়ার তথ্য স্থানীয় জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে, ২০১৪ সালে বান্দরবানে নির্মাণ করা হয় প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। ওই বছরই পাওয়া যায় এনক্লোজার মেশিন, থার্মোমিটার, বায়োমিটারসহ সব ধরণের যন্ত্রপাতি। কিন্তু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য ৮ জনের জনবল কাঠামো থাকলেও, একজন সহকারী আবহাওয়াবিদ এবং একজন আবহাওয়া সহকারী দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়।
গতবছর আবহাওয়া পর্যবেক্ষক পদে একজন যোগ দেয়ার পর, সহকারি আবহাওয়াবিদ ৯ মাসের প্রশিক্ষণে ঢাকায় চলে আসেন। যে লক্ষ্য নিয়ে সরকার বান্দরবানে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার করেছিলো, সেই সুফল এখনও মেলেনি।
দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জানালেন, পর্যাপ্ত জনবল ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের জায়গা নির্ধারণ করা হলে, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটি পুরোদমে চালু হবে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
আল / দীপ্ত সংবাদ