মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা নদীর তীরে সুপার ফর্মিকা এন্ড লমিনেশন (সুপারবোর্ড) নামের একটি কারখানার গোডাউনে এখনো জ্বলছে আগুন।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর একটার দিকে এ আগুল লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসক কাছে জমা দিন। এখনো পর্যন্ত অগ্নি নির্বাপনে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। তবে এ ঘটনা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানা যায়নি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই কারখানাটি প্লাইবোর্ড দিয়ে বিভিন্ন আসবাপত্র তৈরি করে ওই গোডাউন রেখেছে। আজ দুপুর একটার দিকে হটাৎ করে আগুল লেগে যায়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আগুন মুহূর্তের মধ্যে আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে
এতে নদী তীরে নোঙ্গর করাপাটখড়ি ট্রলার আগুন লেগে যায়। এর মধ্যে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে টিম অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে।
বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকা সদর দপ্তরের ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মো. আবু সালেহ বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। প্রথমে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করেন। পরে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে আরো ৮টি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনে যোগ দেয়। আরো কয়েকটি ইউনিট পথে আছে। ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নি নির্বাপনে সমস্যা হচ্ছে আমাদের। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজিব খান বলেন, খবর মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। প্লাইবোর্ড কারখানা আগুন লাগায় আগুন নিবে নিবে জ্বলছে। এ ঘটনায় পাঁচ জনের মত আহত হলেও এদের মধ্যে একজন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোয়িনূর আক্তার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১২টি ইউনিট কাজ করছে। এখন আগুন কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
আল / দীপ্ত সংবাদ