ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের ৬টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়া পাড়ায় দুধকুমার নদীর প্রবল স্রোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০০ মিটার ধ্বসে ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে হাজার হাজার ঘরবাড়ী,কাঁচা–পাকা সড়ক। বানভাসী মানুষগুলোর একমাত্র ভরসা নৌকা ও কলা গাছের ভেলা। অনেকেই ঘরের ভেতর বাঁশের মাচানে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খারার, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত ২৯১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ ও সাড়ে ৩ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্ট ৫৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৩
সেন্টিমিটার, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি ৩৮ সেন্টিমিটার এবং সেতু ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইউনুছ / আল / দীপ্ত সংবাদ