ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় মালাইলা আফরোজ (৪৮) নামে এক নারী ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নাফিজার বাবা এ জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরার সানবিমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে ওই বাসায় প্রায় ১৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোরে।
পুলিশ জানায়, গৃহকর্তা আজিজুল সকাল প্রতিদিনের মতো সোমবার ৭টার দিকে স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। স্কুলে পরীক্ষা চলমান থাকায় বাসায় ফেরেন তাড়াতাড়ি। ১১টার পরে বাসায় এসে প্রথমে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তার স্ত্রী।
মোহাম্মদপুরে সকালে বোরকা পরে কাজে এসেছিলেন আয়েশা। এর দেড় ঘণ্টা পরে স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে যান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নেয়া
প্রতিদিনের মতো সোমবার আজিজুল সকাল ৭টার দিকে স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। স্কুলে পরীক্ষা চলমান থাকায় বাসায় ফেরেন তাড়াতাড়ি। ১১টার পরে বাসায় এসে প্রথমে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তার স্ত্রী।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। চান সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
পুলিশ আসার আগেই নাফিজাকে নেয়া হয় হাসপাতালে, সেখানেই মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। পরে মা লায়লা আফরোজের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের আইনের আওতায় নেয়া হবে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাসার ভেতরের অবস্থার বিষয়ে পুলিশ বলছে, বাসায় ধস্তাধস্তির আলামত রয়েছে, মেঝেতে এবং দেওয়ালে রক্তের দাগ রয়েছে। আলমারি ও ভ্যানিটি ব্যাগ তছনছ অবস্থায় রয়েছে। যা মনে করছি, প্রাথমিকভাবে কিছু খোয়া যেতে পারে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে আমরা একজনকেই দেখেছি, পরে দেখব আশপাশে আরও কেউ ছিল কি না?
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে এবং হত্যাকারী ফ্রেশ হয়েছে বাথরুমে— এমন আলামত পাওয়া গেছে।