ইসরায়েলের হামলা ও জ্বালানি সংকটে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা খাত। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সবচেয়ে বড় দুটি হাসপতাল– আল শিফা ও আল কুদস। মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে ইনকিউবেটর থেকে বের করে রাখা অনেক নবজাতক।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, আল–শিফা হাসপাতালের পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্থাপনাটিতে রোগী ছাড়াও অন্তত দুই হাজার তিনশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। হাসপাতালে পড়ে আছে শতাধিক মরদেহ। ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলার কারণে, এগুলো দাফন করার মতো পরিস্থিতি নেই গাজায়।
আল–শিফা হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় তিন নার্স নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবার ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস।
আল–শিফা হাসপাতালের জন্য জ্বালানি সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে– তেলআবিব যে পরিমাণ তেল দিতে চায়, তা দিয়ে ৩০ মিনিটের বেশি জেনারেটর চলবে না।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস বলছে, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক লোকজনকে অনিরাপদ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাস অর্তকিত হামলা চালিয়ে, ১২ জনকে হত্যা করে। জিম্মি করা হয় দুই শতাধিক মানুষকে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ