সুযোগ পেলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামী যে কোনো একটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী জাতীয় পার্টি (জাপা)। এককভাবে নির্বাচনের চাইতে জোটবদ্ধভাবে ভোটে অংশ নেয়ার ইচ্ছা দলটির।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিরও যেমন আসন সংখ্যা বাড়বে, তেমনি যে দলের সাথে জোট হবে তাদেরও আসন ও ভোট বাড়বে।
বর্তমানে ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকলেও ভেতরে ভেতরে প্রার্থী বাছাই ও প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপা। দলটির দাবি, শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ মেলে, তাহলে জোরেশোরে নির্বাচনী মাঠে নামবে তারা।
দলটি মনে করছে, নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে যে ধোঁয়াশা রয়েছে, তা তফসিল ঘোষণার পর কেটে যাবে। এরপরই জোটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করবে তারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সেই সংলাপে জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
জাতীয় পার্টি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। তবে দলটির মধ্যে অন্তর্কোন্দলের জেরে কাউন্সিলের মাধ্যমে আলাদা কমিটি গঠন করে সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি।
সেই উদাহরণ টেনে নির্বাচন কমিশন বলছে, জাতীয় পার্টি নিজেদের অভ্যন্তরীণ সংকট সমস্যা সমাধান করে যদি ইসির দ্বারস্থ হয় তাহলে দলটির সাথে সংলাপ বা ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে। এটা তারা ফয়সালা করলে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা