সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের গোপন সম্পদের পাহাড় রয়েছে। এদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি ও ভারতের ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানিসহ সামরিক কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ রয়েছেন। ওসিসিআরপির তথ্য বলছে, প্রকাশিত তালিকায় আছে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীর নামও।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর। চাকচিক্যে পরিপূর্ণ এ শহরের প্রতি আকর্ষণ সব দেশের নাগরিকদের।
সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক দ্য অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট–ওসিসিআরপি এক গোপন নথি ফাঁস করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের গোপন সম্পদের পাহাড়। তালিকায় নাম রয়েছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিসহ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তার। শুধু প্রেসিডেন্ট বা সেনা কর্মকর্তাই নয়, শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যাংকার ও আমলাদের নামও আছে তালিকায়। এরকম পাকিস্তানি নাগরিকের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনকুবেররা দুবাইয়ের আবাসন খাতের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। সব সময় স্বচ্ছ বা বৈধ উপায়ে অর্জিত নয় এমন তহবিল ব্যবহার করে তাদের অনেকেই সেখানে সম্পদ গড়ছেন বা বিনিয়োগ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের নামও রয়েছে তালিকায়। শুরুতেই রয়েছে ভারতের মুকেশ আম্বানির নাম। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে মুকেশের।
সব মিলিয়ে ফোর্বসের ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে অনুসন্ধানী দল।
এ তালিকায় শুধু ধনকুবের নয়, বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীদের নামও রয়েছে।
দুবাই আনলকড নামের অনুসন্ধানি প্রতিবেদন তৈরিতে ওসিসিআরপি এর সাথে অংশ নেয় নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই–টোয়েন্টিফোর। এছাড়াও এ প্রকল্পে অংশ নেয় ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম।
আল / দীপ্ত সংবাদ