এলন মাস্ক, টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও এবং সামাজিক মাধ্যম এক্সের (প্রাক্তন টুইটার) মালিক, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে এক বিশাল আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাস্ক ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা করতে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় ১১৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন।
এটি একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ, যা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, বিশেষ করে মিডিয়া প্রচারণা, টিভি বিজ্ঞাপন, এবং ট্রাম্পের পক্ষে জনমত তৈরির কাজের জন্য। মাস্কের সহায়তা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে, যা নির্বাচনী লড়াইকে আরো তীব্র করেছে।
এলন মাস্কের এই পদক্ষেপের পেছনে তার রাজনৈতিক বিশ্বাস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন রয়েছে। মাস্ক কিছুদিন আগে ট্রাম্পের পক্ষে তার সমর্থন ঘোষণা করেন এবং বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আরো শক্তিশালী হতে পারে।
মাস্কের সহায়তার পাশাপাশি, ট্রাম্প তার প্রচারে গণমাধ্যমের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করার চেষ্টা করছেন, যদিও তার বিরুদ্ধে একাধিক আইনি মামলা হয়েছিল। তবে আদালত মাস্কের পক্ষে রায় দেন। যেখানে মাস্কের পক্ষের আইনজীবীরা নিশ্চিত করেন যে, পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের পিএসি‘র এজেন্ডার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন করা হয়েছে।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, মাস্কের মতো ক্ষমতাশালী ব্যক্তির সহায়তা ট্রাম্পের জন্য একটি বড় প্লাস পয়েন্ট হতে পারে, তবে এটি নির্বাচনী ফলাফলে কিভাবে প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
এলন মাস্ক ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ১১৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন। তিনি বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সমর্থকদের আকর্ষণ করেছেন। মাস্কের এই উদ্যোগে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেমন কনসপিরেসি থিওরি সমর্থন করা, যা সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
এছাড়া, মাস্ক একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন, যেখানে তিনি দৈনিক এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দিচ্ছেন তাদেরকে, যারা সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে পিটিশনে সাইন করেছেন। এই উদ্যোগটি আমেরিকা পিএসি এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে এবং এটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে, এই পদক্ষেপটি আইনি প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে, কারণ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেছেন, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন পুরস্কারের প্রস্তাব অবৈধ হতে পারে। পেনসিলভানিয়া রাজ্যের গভর্নরসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ এর বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
মাস্কের এই প্রচেষ্টা তাকে আরও রাজনীতিতে সক্রিয় করেছে, এবং তিনি আমেরিকা পিএসি–তে ৭৫ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন, যা ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এটি ভোটারদের আকৃষ্ট করার একটি নতুন প্রচেষ্টা ছিল, তবে আইনি বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এটি নির্বাচনী নীতি লঙ্ঘন হতে পারে।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ