১. পশু জবাইয়ের ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে রিগর মটিস ঘটে থাকে
যার ফলে গোশতের গুনগত মান নষ্ট হওয়া শুরু হয়। এটি দূর করার
জন্য পশু জবাইয়ের পর দ্রুততম সময়ে চিলিং তাপমাত্রায় ( ০-৪) ডিগ্রি
সেলসিয়াস এ গোশত সংরক্ষণ করতে হবে।
২. গোশত তুলনামূলকভাবে বড় আকারে কাটতে হবে, যাতে করে গোশতের
টেন্ডারনেস বজায় থাকে।
৩. প্লাস্টিকের ব্যাগ, বাক্স বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার ব্যবহার করুন
যাতে গোশত সরাসরি বাতাস এবং দূষণ থেকে সুরক্ষিত থাকে।
৪. গোশত থেকে রক্ত সরাতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সমস্ত গোশত পরিষ্কার করতে
হবে, তা নাহলে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।
৫. তারপর গোশত থেকে পানি ছাড়িয়ে ছোট ছোট প্যাকেট আকারে
সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. সংরক্ষণের সময় তাপমাত্রা যেন ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপর উঠানামা
না করে কারণ তাপমাত্রা বড় পরিবর্তনের কারনে গোশতের গঠন
ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৭. যে হাড়গুলো মোড়কে ছিদ্র করতে পারে সেগুলো প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে
রাখা উচিত।
৮. ফ্রিজিং পদ্ধতিতে অবশ্যই তাপমাত্রা – ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এর মাঝে রাখতে হবে। ভালো পুষ্টিগুণ পেতে যতদ্রুত সম্ভব মাংস খেয়ে
ফেলা উচিত।
৯. এছাড়াও প্রচলিত পদ্ধতিতে যেমন গোশত সিদ্ধ করা বা শুকানোর
মাধ্যমেও সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
১০. যতটুকু রান্না করবেন ঠিক ততটুকুই ফ্রিজ থেকে বের করুন। ফ্রিজ
থেকে বের করে ভিজিয়ে পুনরায় ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে
পারে। এটি এড়িয়ে চলুন।
কোরবানির গোশত সংরক্ষণের পদ্ধতি
৮২