সম্প্রতি দাবদাহে সবাই যখন চরম অস্বস্তিতে ছিল; তখন আরামে কাজ করেছেন রংপুরের একটি কারখানার শ্রমিকরা। কিন্তু সেখানে নেই এসি ও বৈদ্যুতিক ফ্যান। গাছ–গাছালি ও জলাধারে ঘেরা এই প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত বাতাস থাকায় এমনটি সম্ভব হয়েছে।
দূর থেকে দেখলে প্রথমে ঘন জঙ্গল মনে হয়। কিন্তু একটু এগিয়ে গেলে ভুল ভেঙে যায়। এটি আসলে একটি কারখানা।
প্রধান ফটকের বাইরে থেকে চোখে পড়ে সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা, সাততলা ভবনটির ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঝুলে আছে লতা জাতীয় অনেক গাছ। এগুলো বাতাসে দোল খায়।
রংপুর রবার্টসনগঞ্জ স্টেশন রোডে কারুপণ্য তৈরির এই কারখানা ঘিরে রয়েছে নান্দনিক কয়েকটি জলাধার। এগুলো প্রায় ৫ লাখ লিটার পানি ধারণ করতে পারে। আর এসবের উদ্দেশ্য– কারখানার ভেতরে পর্যাপ্ত আলো–বাতাস নিশ্চিত করা। এ কারণে ভবনটিতে নেই কোনো এসি ও বৈদ্যুতিক ফ্যান।
দিন–রাত দুই শিফটে কাজ করেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক। তীব্র তাপপ্রবাহে যখন সবার নাভিশ্বাস উঠেছে তখন এই কারখানার শ্রমিকরা আরামে কাজ করছেন।
এই প্রতিষ্ঠানে শতকরা ৮০ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালে ৮ লাখ স্কয়ার ফিট জায়গার উপর কারুপণ্যের এই কারখানাটি নির্মাণ করা হয়। এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আন্তজার্তিকভাবে সবুজ ভবনের স্বীকৃতি পেয়েছে।