তুরস্কের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে আবারও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প । এবারের ভূমিকম্প রিখটার স্কেলের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৬। এই নিয়ে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কে মারা গেছেন ৩১ হাজার ৬৪৩ জন এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৬১৪ জন।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাতের এক সপ্তাহ পার হয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা ততই ক্ষীণ হচ্ছে। তবে, দিনরাত কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা।
লুটপাটের ভয়ে দোকানপাট খালি করছে তুরস্কের আন্টাকায়া শহরের ব্যবসায়ীরা। নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে ছয়দিন পর দেশটি ছেড়ে গেছে ইসরায়েলের উদ্ধারকারীরা।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কে গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এসময় তিনি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫০ মিলিয়ন কাতারি রিয়াল দান করেন।
দুটি দেশের পাশেই দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্র। কিন্তু যুদ্ধ–বিধ্বস্ত সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দেশটির সরকার সহায়তা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো থেকে। দ্বিতীয় দফায় চীনের রেড ক্রস থেকে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেছে সেখানে।