২০০৯ সালের পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত চেয়ে করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের কাজ দ্রুতই শুরু হবে এবং একটি নতুন তদন্ত টিম গঠন করা হবে।
গত রোববার হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান, পিলখানা হত্যার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে কোনো পুনঃতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে কি না।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ভয়াবহ বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পর হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালে হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়, যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। আর ২৭৮ জনকে খালাস দেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে ২৮৩ জন খালাস পান।
হত্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি এবং ৮৩ জনের সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে, যা এখনো শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জনের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে আদালতে এই মামলার বিচার মাঝপথে স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চালানো হয়।