রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন যেভাবে

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

করদাতাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি সবার জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমার সেবা উন্মুক্ত করেছে।

এখন যেকোনো করদাতা চাইলে অনলাইনে নিবন্ধন নিয়ে ঘরে বসেই তার আয়ব্যয়ের তথ্য জানিয়ে এ বছরের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।

এ বিষয়ে এনবিআরের স্লোগান হচ্ছে, ‘না দাঁড়িয়ে লাইনে, রিটার্ন দিন অনলাইনে’।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে কী লাগবে?

সনাতন পদ্ধতিতে অর্থাৎ, অফলাইনে কর দেওয়ার সময় বেশ কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করতে হয়। যেমনইটিআইএন, জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি, আগের রিটার্নের কপি ইত্যাদি।

তবে, রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র জমা বা আপলোড করতে হয় না। শুধু প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দাখিল করলেই হয়।

তবে অনেকেই আবার ইরিটার্ন জমা দেওয়ার আগে কী করতে হবে তা নিয়ে দোটানায় আছেন। ইরিটার্ন দিতে হলে www.etaxnbr.gov.bd/ ঠিকানায় গিয়ে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।

কোনো করদাতা অনলাইনে নিবন্ধন ও রিটার্ন জমা দিতে কোনো সমস্যায় পড়লে এনবিআরের কল সেন্টারের সহায়তা নিতে পারেন। এসংক্রান্ত কল সেন্টার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু আছে। কল সেন্টারের নম্বর ০৯৬৪৩৭১৭১৭১। কল সেন্টারে ফোন করলে একজন কর কর্মকর্তা আপনার সমস্যার সমাধান করে দেবেন।

আইন অনুযায়ী, টিআইএন থাকলেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। সেটি না করলে জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

তবে, রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তার কর দেবার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে।

নিবন্ধনের পর সাইন ইন করে ড্যাশবোর্ডের সাবমিশনঅপশনে যেতে হবে। এই অপশনে ‘রেগুলার ইরিটার্ন’ ও ‘সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন’ ক্যাটাগরি বেছে নিতে হয়।

করযোগ্য আয় পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হওয়া, গণকর্মচারী না হওয়ার মতো সাতটি শর্ত মিলে গেলে সিঙ্গেল পেজ বা এক পাতার রিটার্ন পূরণ করার প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে।

সেখান থেকে অ্যাসেসমেন্ট ইনফরমেশন‘-এ গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।

আয়ের সময় এবং উৎস উল্লেখ করতে হবে এখানে,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন আয়কর আইনজীবী মো. ইসহাক। সেই সাথে যত ধরনের খাত থেকে আয় হয় সেগুলোও উল্লেখ করতে হবে।

এরপর ধাপে ধাপে পূরণ করতে হবে আয়ের বিবরণ, কর রেয়াতের তথ্য, ব্যয়, সম্পদ ও দায়, কর ও পরিশোধ।

রিটার্ন জমার সময় প্রমাণপত্র হিসেবে কিছু কাগজপত্র লাগবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের ওপর সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌরকরের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনী সম্পদের বিক্রয় কিংবা ক্রয়মূল্যের চুক্তিপত্র ও রসিদ, মূলধনী ব্যয়ের আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র, শেয়ারের লভ্যাংশ পাওয়ার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, সুদের ওপর উৎস কর কাটার সার্টিফিকেট।

বর্তমানে সরকারিবেসরকারি ৪৭টি সেবা পেতে এখন আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। তাই এসব সেবা পাওয়ার চিন্তাভাবনা বা সম্ভাবনা থাকলে আপনাকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া বিনিয়োগ করে কর রেয়াতের সুযোগও নিতে পারেন করদাতারা।

আল/দীপ্ত

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More