খুলনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) খুলনা সার্কিট হাউজে রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১১ জন ছাত্র ও অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিটি মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আ.লীগ নেতারা। বৈঠকের পর তাৎক্ষণিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘খুলনাতে আমরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছি তবে কোনো সহিংসতা করিনি। আন্দোলনটা এখন ভিন্ন খাতে চলে যেতে পারে, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হলো। আমরা জানিয়ে দিচ্ছি পরবর্তীতে আমাদের আর কোনো কর্মসূচি নেই।’
এদিকে, রাতেই শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ, ‘প্রত্যাহারের ঘোষণা’ প্রত্যাখান করেন। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে অনলাইনে বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, খুলনার গ্রুপে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মিরাজ অন্য সব সমন্বয়ক ও সহ–সমন্বয়কদের পক্ষে এই ঘোষণা দেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্যাডে ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ শিরোনামে আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক গ্রুপ ‘কেইউ ইনসাইডার’ এবং ‘থট বিহাইন্ড দ্যা কেইউ’ প্রকাশ করা হয়। এতোদিন এই দুটি গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা এবং প্রকাশ করতেন।
স্পষ্ট বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোনো সমন্বয়ক ছিল না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক যে প্রেস ব্রিফিং করানো হয়েছে তা নোংরা রাজনীতির অংশ ছাড়া কিছুই নয়। এ অবস্থায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এই বিবৃতি প্রত্যাখান করছি।’
উল্লেখ্য, সার্কিট হাউজের বৈঠকের পর থেকে ‘প্রত্যাহার’ এবং ‘প্রত্যাখান’ করা শিক্ষার্থীদের সবার মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। বৈঠকের আলোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে তাদের কাছে কিছু জানা যায়নি।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ