বরগুনায় নিয়ম নীতি না মেনে অকটেন ও পেট্রোল যেখানে সেখানে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডারও।স্থানীয়রা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন। রাস্তার পাশে বোতলে বোতলে সাজিয়ে খুচরা বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন। এসব দোকানে লাইসেন্স নেই জ্বালানি তেল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির।
শুধু ফায়ার সার্ভিস থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে, রাস্তার পাশে বোতলে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। কোন কোন চায়ের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। দুঃখ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
একজন বিক্রেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দৈনিক ৫ লিটার ,২ লিটার ৩লিটার কোন দিন বিক্রি হয়না, আমরা তো আর পাইকারি সেল দেই না।“
বরগুনার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের অফিসার শামীম রেজা বলেন, এভাবে এসব রাখা উচিত না কারন যদি কখনও কোনো দোকানে আগুন লাগে তাহলে তাৎক্ষনিক ভাবে সাধারন জনগন যদি আগুন নেভানোর জন্য দোকানে ঢুকে যায় তাহলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পাবলিক পলিসি ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, “ আমরা বুঝতে পারিনা কিভাবে এগুলার অনুমোদন পায়, প্রশাসন কেন এদিকে নজর দিচ্ছেনা।“
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওছার হোসেন জানান, “ফায়ার সার্ভিস যদি আমাদের বলে কারা তাদের লাইসেন্স ব্যতীত বা বিস্ফোরক অধিদপ্তর যদি আমাদের কাছে তালিকা প্রদান করেন যে কারা লাইসেন্স ব্যতীত এইসব বিক্রি করছে তাহলে আমরা এটার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবো।
অবৈধভাবে জ্বালানি তেল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে, অভিযান পরিচালনায় আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। ফায়ার সার্ভিস ও বিষ্ফোরক পরিদপ্তারের তথ্য মতে, বরগুনায় অবৈধভাবে জ্বালানি তেল ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার সাথে জড়িত প্রায় ২ হাজার মানুষ।
অনু/দীপ্ত সংবাদ