আজ ৮ মার্চ (শুক্রবার)। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সাফল্য উদযাপন, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদান, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিনটি।
‘নারীর সম–অধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও উদ্যাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
নারী দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক–সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি এবং উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, গৃহকর্মে নারীর শ্রম ও অবদানকে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারীরা এগিয়ে যাবে। আ.লীগ ২০০৯ সাল থেকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে প্রতিটি কাজে নারী–পুরুষের সম–অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এবারের প্রতিপাদ্যটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে জাতিসংঘ বলছে, নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীনতা মোকাবিলায় নজর দিতেই নারী দিবসের থিম নির্বাচন করা হয়েছে। নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধেও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ যথেষ্ট নয়। নারীদের জন্য সঠিক বিনিয়োগ উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য অপরিহার্য।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ