দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে জিম্বাবুয়ের আরও ১০ ব্যক্তি এবং তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার এই আদেশটি দেশটির অন্যান্য সিনিয়র নেতাদেরও ক্ষতির মুখে ফেলবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ আটকে যাবে এবং সেখানে বেসরকারি উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন না তারা।
আরও পড়ুন: চার ইসরায়েলির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বিবিসি বলছে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি বিস্তৃত প্রোগ্রামের স্থালাভিষিক্ত হবে যা দুই দশক আগে চালু হয়েছিল। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি।’
সুশীল সমাজকে টার্গেট, রাজনৈতিক কার্যকলাপের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ, মৌলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্নসহ সরকারি নেতা এবং প্রধান কুশিরব তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনসম্পদ লুণ্ঠন করেছেন।
এমন কার্যকলাপ ঘুষ, চোরাচালান এবং অর্থ পাচারের বিশ্বব্যাপী অপরাধমূলক নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশের সম্প্রদায়গুলোকে দরিদ্র করে তোলার জন্য দায়ী বলে মনে করে হোয়াইট হাউস।
আল / দীপ্ত সংবাদ