ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং প্রচলিত আইনের বিপক্ষে যায় এমন বই, মেলায় যেন না আসে সেদিকে নজর দেবে ডিএমপি। জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় নিয়েই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বই মেলায়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান নগর পুলিশের কমিশনার।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় চলছে স্টল নির্মানের কাজ। শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রকাশকরা।
পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এই প্রতিপাদ্যে এবারের বই মেলা হবে ২৯ দিন। মেলায় সর্বনিম্ন ২৫ শতাংশ ছাড়ে এবার বই বিক্রি করবে বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
বইমেলা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সাজানো হয়েছে কয়েক স্তরে। পুরো মেলা প্রাঙ্গন এবং আশপাশের এলাকা থাকছে সিসি ক্যামেরার আওতায়।
বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার জানান, মেলাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই।
তিনি জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বইয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকবে পুলিশ। সাইবার প্রেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি থাকবে ড্রোন প্রেট্রোলিং।
এবার মেলায় মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় থাকবে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন। মেলা চলবে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: চলছে একুশে গ্রন্থমেলার জোর প্রস্তুতি
আল / দীপ্ত সংবাদ