খাগড়াছড়ি আসনের নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, বিগত পনের বছরে তিন পার্বত্য জেলায় শিক্ষা–স্বাস্থ্য– যোগাযোগ–প্রযুক্তি–বিদ্যুতায়ন–কৃষি ও সুপেয় পানিসহ সেবাখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
একটি পক্ষ সরকারের এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি সরকার প্রদত্ত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই পাহাড়ের মানুষের মনের ব্যথা বুঝতে পেরেছিলেন। অসাম্প্রদায়িক পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তেই তিনি বিশ্বননন্দিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তিচুক্তি)’ সম্পাদন করেছিলেন। সেই পথ ধরেই পাহাড়ে আজ বিপুল উন্নয়নের গতি বয়ে চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি এলাকায় নিবাচর্নী পথ সভায় এসব কথা বলেন নৌকার প্রার্থী।
এ সময় তিনি আরো বলেন, এক সময়ে পিছিয়ে থাকা পার্বত্যঞ্চলের মানুষ আজ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ের যে শান্তি, শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের শুরু হয়েছিল, তা আজও অব্যহত রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাবে। তাই চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা ও কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সা. সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আ.লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আশুতোষ চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা, প্রবীন সমাজসেবক চাইথোয়াই চৌধুরী এবং গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ণ ত্রিপুরা ।
এর আগে দলে দলে সাধারণ মানুষ নৌকার পোষ্টার ও প্লে কার্ড নিয়ে নৌকার সমর্থনে পথ সভায় যোগদেন।
আরো পড়ুন: পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরেও শান্তি নেই পাহাড়ে , বেড়েছে হতাশা
প্রদীপ/লিয়ন/দীপ্ত নিউজ