শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

বীজ আত্মসাতের অভিযোগে বিএডিসির ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বীজ উৎপাদন খামার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর কৃষি খামারে উৎপাদিত ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৫ টাকার ধান ও গমবীজ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আট কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুনীতি দমন কমিশনের যশোর অফিসের উপপরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন, যার মামলা নং ৭, ৮ ও ৯।

মামলার আসামিরা হলেন, মহেশপুরের দত্তনগর কৃষি খামারের সাবেক ও বর্তমান মুন্সিগঞ্জ বিএডিসির উপপরিচালক ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, যশোরের সাবেক ও বর্তমান গাজিপুর বিএডসির আমিন উল্যা, মহেশপুরের গোকুলনগর কৃষি খামারের সাবেক ও বর্তমান দিনাজপুর বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক তপন কুমার সাহা, মহেশপুরের পাথিলা খামারের সাবেক উপপরিচালক ও বর্তমান কিশোরগঞ্জ বিএডিসির উপপরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান তালুকদার, যশোর বিএডিসির সাবেক ও বর্তমান ফরিদপুরের তাম্বুলখানা খামারের সহকারী পরিচালক মো. আলী হোসেন, মহেশপুরের করিঞ্চা খামারের সাবেক ও বর্তমান ফরিদপুরের তাম্বুলখানার গুদাম রক্ষক মো রেজাউল কবির, গোকুলনগরের সাবেক গুদামরক্ষক অবসরপ্রাপ্ত মো. লিয়াকত আলী ও মহেশপুরের পাথিলা খামারের ভারপ্রাপ্ত গুদাম রক্ষক কামরুল আহসান।

প্রথম মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৮৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলায় ১ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪১ টাকা ও তৃতীয় মামলায় ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, আসামি ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল ঝিনাইদহে ২০১৮১৯ উৎপাদন বর্ষে উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি খামারে ৪০ হেক্টর (৯৮.৮ একর) জমিতে ৮০ টন এসএল এইটএইচ জাতের হাইব্রিড ধানবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। ওই বীজ উৎপাদনের জন্য বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিক, জিএ৩ চাষাবাদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ মোট ১ কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।

আসামিরা যোগসাজশে ঝিনাইদহের দত্তনগর খামারে উৎপাদিত ২২.০৩৫ টন বোরো এসএল এইটএইচ জাতের বীজ ধান ও ৯৩৬৮ কেজি কেজি বারি ৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেন। দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একই খামারে উৎপাদিত ৭৫.০৭৫ টন বোরো এসএল এইটএইচ জাতের বীজ ধান, .০৬৯ টন ব্রি২৮ জাতের ধানবীজ ও ২৬২৫ কেজি বারি ৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেন। এই আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে আসামীরা গাড়ির লগ বই ও সৃজিত চালান ঘষামাজা করে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাক ডেট বসিয়ে দেন, যা তদন্তে ধরা পড়ে।

এ বিষয়টি দুদক ছাড়াও বিএডিসির গঠিত তদন্ত কমিটির নজরে আসে এবং তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেন। জালিয়াতির মাধ্যমে বীজ আত্মসাতের প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর দুর্নীতি দমন কমিশন তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিত্বে এই মামলা করলো।

 

শাহরিয়ার আলম/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More