সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১১ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব নাজমুল আহসান। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির।
সভায় সচিব নাজমুল আহসান সাতক্ষীরার ভাঙন কবলিত এলাকা সমূহে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গাবুরায় মেগা প্রকল্প ছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া ‘টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট‘ (টিআরএম) সম্পর্কেও নানা তথ্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পাউবোর নির্বাহী প্রকোশলী সালাউদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন সবিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে সচিব নাজমুল আহসান শ্যামনগরের নীলডুমুর খেয়াঘাট থেকে জলপথে খোলপেটুয়া নদী পার হয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গাবুরার জেলেখালি, নেবুবুনিয়া ও দূর্গাবাটী সহ ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এছাড়া স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মানের উদ্দেশ্যে গাবুরায় চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ তদারকি করেন ও সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার জন্য দিক নির্দেশনা দেন।
এসময় তার সফরসঙ্গী হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির, পাউবো সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দিন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন, পাউবোর চীফ ইঞ্জিনীয়র মোঃ সফিউদ্দিন সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
উল্লেখ্য, ভাঙন কবলিত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গাবুরাকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ১ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্বীপ ইউনিয়নটিতে কয়েকটি পয়েন্ট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে দৃষ্টিনন্দন এলাকায় বেশ কিছুদিন আগেও ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন ও পাউবো’র সহায়তায় সেখানে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো গেলেও যেকোন সময় তা আবার ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া আইলা, সিডর ও আম্পানে এই এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিলো।
শায়লা/ দীপ্ত নিউজ