নওগাঁ জেলার পোরশা থানার তিলনা এলাকা হতে চাঞ্চল্যকর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যাকারী স্বামীকে আটক করেছে র্যাব–৫, রাজশাহীর সিপিসি–৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল। বুধবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামি স্বামী পত্নীতলা উপজেলার বোয়ালী গ্রামের মৃত রিয়াজের ছেলে রেজাউল করিম (৩৮)।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে র্যাবের দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, গত ১২ জুলাই রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় পাষণ্ড স্বামী রেজাউল নিজ বাড়ীতে এসে তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম (৩৮) এর সাথে সাংসারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ঝগড়া বিবাদ শুরু করে। ঝগড়ার সময় আসামি রেজাউল ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারি ভাবে ভিকটিমকে মারতে থাকে এবং একপর্যায়ে ঘর থেকে চাকু এনে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রীর পেটের নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায় এবং ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পরে।
ভিকটিমের ছেলে–মেয়ে এবং বাবা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে রাত আনুমানিক ২.৩০ঘটিকায় ভিকটিমকে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। রাজশাহী মেডিকেলে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ সকালে ভিকটিম মারা যায়।
পরবর্তীতে পুলিশ লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় ভিকটিমের লাশ পত্নীতলা নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় ও দাফন সম্পন্ন করে।
১৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে ভিকটিমের বাবা পত্নীতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা হওয়ার পর থেকেই র্যাব–৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামি রেজাউলকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং মামলা হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পাষণ্ড স্বামী রেজাউলকে পোরশা থানার তিলনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পত্নীতলা থানায় একটি মামলা রুজু করে আটক রেজাউলকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আফ/দীপ্ত নিউজ