ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এ ভোটগ্রহণ; টানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই প্রথম কোনো সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ব্যালট পেপারে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হয়েছে সোমবার ভোরে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরায় নজর রাখবে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান জানান, ঢাকা ১৭ আসনের এ নির্বাচনী দায়িত্বে ১ হাজার ৩৪০ জন কর্মকর্তা প্রস্তুত। প্রত্যেক কেন্দ্রে থাকছে ৫ পুলিশ ও ২ আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর মোট ১৯ সদস্য। এছাড়া ১২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে দু–চারটি কেন্দ্র ছাড়া কোনো কেন্দ্রে নেই ঝুঁকিও। নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই দাবি করে তিনি জানান, ১০ প্ল্যাটুন বিজিবিসহ মাঠে থাকবে মোবাইল কোর্ট ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা–১৭ আসনে ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ৬০৫টি ভোটকক্ষের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ২৫ হাজার ২০৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম উরফে হিরো আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা–১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে গত ১ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আফ/দীপ্ত নিউজ