ঝালকাঠি জেলার বিসিক শিল্প নগরীর মাঠে চলছে মাসব্যাপী বিসিক উদ্যোক্তা মেলা। বর্ষা মৌসুমে বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রথমে ক্রেতা ও দর্শনার্থী কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশ বেরেছে।
গত ২৭ জুন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বিসিকের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। বিশেষ করে কম দামে কিনতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।
মাঠের চারদিক ঘিরে রয়েছে সারি সারি অর্ধশত স্টল। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। মেলার প্রবেশদ্বারে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোটরসাইকেল পার্কিং, নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে।
বিভিন্ন স্থানের দর্শনার্থীদের পদচারণায় বিনোদন স্পট এ পরিনত হয়েছে মেলা। নানা রকমের পণ্যের স্টলগুলো সাজানো হয়েছে রংবেরং সাজ সজ্জায়।
মেলার অভ্যন্তরীণ স্টলগুলোতে দেশীয় পোশাক, হস্তশিল্পজাত পণ্য, সাজসজ্জার সামগ্রী, আসবাব ও গৃহসজ্জার বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াও আরও অনেক কিছু। স্টলের সামনে ক্রেতাদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে বেড়েছে কেনাবেচা।
ঘুরতে আসা লোকজন বলেন, মেলায় এসে তারা খুব আনন্দ পাচ্ছে। অনেকেই পরিবার ও সন্তান সাথে নিয়ে এসেছে। প্রতিবছরে একবার নয় দুই তিনবার অনুষ্ঠান করা উচিত। তাহলে বাচ্চারা দেখবে শিখবে।
উদ্যোক্তা সনিয়া আক্তার আরজু বলেন, এই মেলায় মুড়ি এবং পেয়ারা দিয়ে লাভবান হওয়া যায়। উদ্যোক্তা হিসেবে কেউ আগ্রহী থাকলে প্রথমে ঝালমুড়ি দিয়ে শুরু করেন। একসময় এই ঝালমুড়ি দিয়েই অনেক বড় ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
মেলা রাইড (খেলনা) মালিক হেলাল উদ্দিন বলেন, আগের চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। আমাদের এখানে রাইড আছে ৮–১০ টি। মেলায় শিশুদের রয়েছে নাগরদোলা, ট্রেন, ভুতের বাড়ি সহ নানান রকম খেলনা।
বিসিক উদ্যোক্তা মেলার মাঠ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মোঃ মনির আহম্মেদ বলেন, এখানে যারা স্টল দিয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে ঝালকাঠি আর বরগুনার।
খালিদ হাসান/শায়লা/ দীপ্ত নিউজ