ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ফয়লা মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান ফয়লা মাস্টারপাড়া এলাকার সফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই ঘাতক আকরাম হোসেনকে আটক করেছে। তবে তার ভাই সাদ্দাম হোসেন পলাতক। আটক আকরাম হোসেন একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ‘রাতে বাড়িতে ভাত খেয়ে দোকানে যাচ্ছিল মেহেদী হাসান। যাওয়ার পথে প্রতিবেশী আকরাম ঘরের মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানায় মেহেদী। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকরামের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে মেহেদী। এ সময় আকরাম তাকে ঘরের মধ্যে থেকে আনা ছুরি দিয়ে গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার ভাই সাদ্দাম হোসেনও ছিল। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মেহেদী হাসান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।‘
নিহত মেহেদীর স্ত্রী আকলিমা আক্তার বলেন, তাদের একটি ৫ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান।
নিহতের মা সাবিয়া বেগম জানায়, ‘তার ছেলের ভিসা–পাসপোর্ট প্রস্তুত। আর তিন দিন পরে ছেলে মালয়েশিয়া চলে যাবে। কিন্তু তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাদ্দাম ও আকরাম তার ছেলেকে হত্যা করেছে। তিনি তার ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।‘
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, ‘তুচ্ছ ঘটনায় মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছ। খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত আকরাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।‘
শাহরিয়ার আলম / পূর্ণিমা/ দীপ্ত সংবাদ