ফেনীতে সিএনজি অটোরিকশার শ্রমিককে অপহরণ ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফেনী জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার (১৫ মে) বিকালে ফেনী জেলা মিশুক, বেবীট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার সিএনজিচালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেনী জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোরশেদা আক্তার মিয়াজী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা ফেনী জেলা মিশুক, বেবীট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি:নং–কুমি–১৩৯) বাংলাদেশ সরকারের শ্রম মন্ত্রনালয় অধিনস্থ আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর কুমিল্লা থেকে অনুমতি নিয়ে সংগঠনের সভাপতি মোরশেদা আক্তার মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক দিলদার হোসেন এর নেতৃত্বে জেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।
এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মিশুক, বেবীট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিকরা আমাদের সদস্যপদ গ্রহণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই গত শনিবার বিকাল ৫টায় ফেনী জেলা মিশুক, বেবীট্যাক্সী, ট্যাক্সীকার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সিএনজি চালক আবদুল মোমিনকে তার ভাডায় চালিত সিএনজিসহ জেলা জুট শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম (১৯৮৮) ভূয়া নাম্বার ব্যবহার করে হানিফ, মানিক ও আবুল কাশেমের লোকজন ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে আমাদের নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্যদেরকে কেন এ সংগঠনে নেয়া হয়েছে তাদের শ্রমিক কার্ড ফেরত নিয়ে যেতে বলে তার সিএনজিটি আটক করে রাখে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকে। আমরা খবর পেয়ে আমাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ দ্রুত ফেনী জেলা প্রশাসনকে ও পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে ফেনী মডেল থানার ওসি তদন্ত মাহফুজুর রহমানের হস্তক্ষেপে প্রায় তিন ঘন্টা পর সিএনজি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় আমাদের সংগঠনের সাইন বোর্ড কালি মেরে নষ্ট করে দেয়, শহরে আমাদের পোষ্টার ছিড়ে ফেলে।
এছাড়াও গত ২৫ জানুয়ারি তারিখে আমাদের সংগঠনের ৩ জন শ্রমিককে ধরে নিয়ে যায় এক পর্যায়ে প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এক পর্যায়ে দীর্ঘ দেড় ঘন্টা পর আমাদের প্রায় শতাধিক শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের সাথে নিয়ে হানিফ–মানিকের অফিসে গিয়ে তাদের সিএনজি সহ উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
এছাড়া হানিফ ও মানিকের লোকজন যেকোন সময় আমার সংগঠনের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শ্রমিকদের নানা ভাবে হয়রানি করতে পারে। আমরা উপরোক্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ হানিফ ও মানিকের মুঠোফোনে বারবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/আফ/দীপ্ত সংবাদ