নোয়াখালীর চৌমুহনী-মাইজদী সড়কের মাইজদী বাজার এলাকায় দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যানের চাপায় জুয়েল সাহা (৩০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। ঘটনায় অপর মোটরসাইকেল শ্যামল সাহা(৩২) ও পথচারী কেয়া বেগম (৩৪) গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার ( ৮ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় মাইজদী বাজার গ্রীন হল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল সাহা নোয়াখালী পৌর এলাকার মাস্টার পাড়ার দীলিপ সাহার ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানির স্টোরকিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আহত শ্যামল সাহক মাস্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিজ বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বন্ধু শ্যামলকে নিয়ে নিজ কর্মস্থল দত্তবাড়ি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন জুয়েল। তাদের মোটরসাইকেলটি মাইজদী বাজার গ্রীন হলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান উল্টে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে তারা গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকেই ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় জুয়েল।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গ্রীন হলের সামনে সড়কের পশ্চিম পাশ থেকে একটি অটোরিক্সার সামনে দিয়ে হেঁটে সড়ক পার হচ্ছিলেন কেয়া বেগম নামে এক নারী। এ সময় অটোরিক্সার পেছনে থাকা পিকআপভ্যানটি অতিক্রম করে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে কেয়া বেগম সামনে পড়লে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে বিপরীত পাশে থাকা মোটরসাইকেল ও কেয়া বেগমকে চাপা দেয় গাড়িটি। এতে জুয়েল, শ্যামণ ও কেয়া গুরুতর আহত হন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী জুয়েল ঢাকা নেয়ার পথে মারা গেছেন বলে জেনেছি। এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আল/দীপ্ত সংবাদ