পায়রা সমুদ্র বন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যাপিটাল ড্রেজিং সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে পায়রা দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। রবিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে পায়রা সমুদ্র বন্দরের সম্মেলন কক্ষে ড্রেজিং কার্যক্রম শেষে চ্যানেল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ড্রেজিংয়ের ফলে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দৈর্ঘ এবং ১১০ থেকে ২০০ মিটার প্রস্থের চ্যানেলটির গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত হয়েছে, এর ফলে প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল সহজে প্রতিনিয়ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। ৪০ হাজার মেট্রিকটন পন্য বোঝাই জাহাজের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের লাইটারেজের প্রয়োজন হবেনা।
এতে বন্দরের আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম বহুগুন বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শুধু ড্রেজিংই নয় সমান তালে এগিয়ে চলছে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মান কাজ। মে মাসে বন্দরের ‘প্রথম টার্মিনালের কাজ শেষ হবে। ইতোেমধ্যে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়াবাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে।
সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নূল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তারা মেনেটেইনেন্স ড্রেজিং করবে।
এসময়, জাতীয় সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান, জান ডি নূল–এর প্রকল্প পরিচালক জান মঈন, বন্দরের স্কীম পরিচালক রাজিব ত্রিপুরা সহ বন্দরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ