সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে নামবেন খেলোয়াড়রা। এই সিরিজ দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু হতে যাচ্ছে। ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা কাটিয়ে বাংলাদেশ কতটা ভাল করতে পারে, সেটাই এখন দেখার পালা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের রেশটা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তার আগেই ২০২৭ সালের নতুন চক্রের মিশন শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
স্বপ্ন দেখতে মোটেও দোষের নয়। কিন্তু বাস্তবতার সাথে পারফম্যান্সের ফারাকটাওযে বেশ। বিশেষ করে অতীত পরিসংখ্যান কোনোভাবেই সমর্থন দিচ্ছে না সফরকারিদের। লঙ্কানদের সাথে এটি টাইগারদের ত্রয়োদশ টেস্ট সিরিজ। এর আগে ১২ বারের দেখায় একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ড্র করেছে কেবল একটি। আর ম্যাচ হিসেবে ২৬ বারের লড়াইয়ে ২০টিতে হার মুশফিক-মিরাজদের। ২০১৭ সালে ৬ উইকেটের জয় পায় সেই সময়ের মুশফিক বাহিনী।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বনিম্ন রান ৬২, কলম্বোয় ২০০৭ সালে, তখন বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন সময়ের তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশকে আট ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ইনিংস ও ২৪৮ রানে, ২০১৪ সালে মিরপুরে। রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় ৪৬৫ রানের। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে এই জয় পেয়েছিলো লঙ্কানরা।
ঘোষিত লঙ্কান দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন-লাহিরু উদারা, পাসিন্দা সুরিয়াবান্দারা, সোনাল দিনুশা, পবন রত্নায়েকে, থারিন্দু রত্নায়েকে এবং ইশিতা বিজেসুন্দরা। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড থাকবে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বাহুতে।
তবে এত পরিবর্তনের মাঝেও অভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপ ধরে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইনিংসের সূচনা করবেন পাতুম নিশাঙ্কা। মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ওপরই থাকবে দলের ভরসা।
এই সিরিজের সবচেয়ে আলোচিত মুখ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। গল টেস্টেই অবসর নেবেন ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। ১৬ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবে তিনি।
মোহাম্মদ হাসিব/এজে/দীপ্ত সংবাদ