ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, মিডিয়া, ঢাকায় বিদেশি মিশন ও স্থানীয় চীনা নাগরিকরা যোগ দেন।
অতিথিরা রাষ্ট্রদূত ইয়াওকে অভিনন্দন জানান। এ সময় দীপ্ত টিভির পক্ষ থেকেও চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের ১৬তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং সৌভাগ্যের বিষয়। দুই মাস আগে ঢাকায় আসার পর থেকে সর্বস্তরের বন্ধুদের সঙ্গে গভীর ও আনন্দদায়ক যোগাযোগ হয়েছে। সেখানে চীনের প্রতি তাদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা অনুভব করেছি। সেইসঙ্গে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য তাদের আগ্রহী আকাঙ্ক্ষাও অনুভব করেছি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সহযোগিতার অংশীদার। চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই বিপুল জনসংখ্যার উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের মধ্যে কোনো অমীমাংসিত বিরোধ বা ঐতিহাসিক বোঝা নেই। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে দুই দেশের জনগণ স্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা এবং একই ধরনের ধারণা ও মূল্যবোধ উপভোগ করে।
তিনি বলেন, পঞ্চাশের দশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুইবার চীন সফর করেন। তিনি চীন দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন। ‘আমার দেখা নয়া চীন‘ শিরোনামে একটি ভ্রমণকাহিনীও লিখেছিলেন। সেখানের চীনের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে।
চীন–বাংলাদেশ সম্পর্কের সম্ভাবনা সীমাহীন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন সর্বক্ষেত্রে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশের দিকে নতুন যাত্রা শুরু করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ সোনার বাংলার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০৪১‘ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উভয় দেশেরই একই লক্ষ্য এবং একই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। চীন–বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একে অপরকে বোঝা, বিশ্বাস এবং সমর্থনে একটি ভালো উদাহরণ তৈরি করবে।
আফ/দীপ্ত সংবাদ